
সিলেটের বিয়ানীবাজারে আইফোনের লোভে পরিকল্পিতভাবে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ইমন আহমদ (২০) খশির নামনগর এলাকার মৃত আব্দুল মতলিবের কনিষ্টপুত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে তার বড়ভাই ইতালি প্রবাসী, আর ছোটভাই জাবেদ আহমদ অটোরিকশা চালান।
পুলিশ জানায়, ইমন একই এলাকায় মাদ্রাসা পড়–য়া আশরাফুল ইসলাম (২২) এবং তার কয়েকজন সহযোগীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করতেন। ইমনের বড়ভাই ইতালি থেকে পাঠানো আইফোন ১৫ প্রো-ম্যাক্স দিয়ে তারা টিকটক ও ফেসবুকের ভিডিও তৈরি করতো।
৭ ডিসেম্বর বিকেলে ইমন তার আইফোন নিয়ে আশরাফুলের সঙ্গে বের হন। সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ থাকার পর রাতে তার পরিবার বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং আশরাফুলের উপর সন্দেহ প্রকাশ করেন। পুলিশ ৮ ডিসেম্বর রাতে আশরাফুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরে হত্যাকাণ্ড স্বীকার করে।
আশরাফুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে শেওলা ইউনিয়নের কোনাশালেশ^র এলাকার একটি ডোবা থেকে ইমনের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর আশরাফুল ইমনের ফোন সিলেটে বিক্রি করে দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে, হত্যাকাণ্ডে আশরাফুলের সঙ্গে আরও ২-৩ জন জড়িত।
নিহতের প্রতিবেশি আব্দুল আহাদ জানান, আশরাফুল আইফোনের লোভে অন্যদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কুড়ারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতা বলেন, ইমন সহজ সরল ছেলে ছিল, তাকে নৃশংসভাবে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক তদন্ত ছবেদ আলী জানিয়েছেন, আশরাফুলের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করুন