প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই দুই কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটের এক মহিলার মাধ্যমে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা গার্মেন্টসে কাজ করতে রাজি হলেও, সেখানে পৌঁছানোর পর তাদেরকে একটি হোটেলে নিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়। পরদিন গার্মেন্টসে কাজ দেওয়ার কথা বলে, তাদেরকে আরও গভীরভাবে ফাঁদে ফেলে রাখা হয়। এর পর থেকেই তাদের উপর চলে টানা ১৪ দিনের পাশবিক নির্যাতন।
শুধু তাদেরকে হোটেলে আটকে রাখা হয়নি, বরং ফোন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যাতে তারা তাদের পরিবার বা অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারে। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন তাদের খোঁজ না পেয়ে ৯ এপ্রিল শাহপরাণ থানায় জিডি করেন। পরে ওই মহিলার মাধ্যমে সিলেটে ফিরে এসে পুলিশকে জানানো হলে, দুই কিশোরীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কক্সবাজার থেকে মুক্তি পেয়ে দুই কিশোরী সিলেটে ফিরে আসার পর, তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। পরবর্তী সময়ে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, শাহপরাণ থানার এসআই সোহেল চন্দ্র সরকার বলেছেন, "দুই কিশোরী বাড়িতে অভিমান করে ওই মহিলার ফাঁদে পা দিয়েছে। তবে নির্যাতন বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।"