বাংলাদেশর বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম আজ টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ারের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। রিচার্ড এনগারাভার বল লং অনে পুশ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন সাদমান ইসলাম, ইনিংসে তার ১৬তম চার। এই চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি এবং বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় শতকটির স্বাদ গ্রহণ করেন।
সাদমানের সেঞ্চুরি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেহেতু এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটি তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২১ সালের জুলাইয়ে করেছিলেন, যেখানে অপরাজিত ১১৫ রান করেছিলেন। এবার সাদমান ১৪১ বল খেলে শতক স্পর্শ করেন, এবং চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দলের জন্য এটি একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে দেয়।
সাধারণত সাদমান ইসলামের খেলার ধরন একটু সময়সাপেক্ষ, এবং সে ক্রিজে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে থিতু হতে সময় নেয়। তবে আজকের ম্যাচে তাকে এক ভিন্ন রূপে দেখা গেছে। দিনের শুরুতে তিনি জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন, যা তার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে পরিণত হয়।
এদিন সাদমানের ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। তিনি তার স্ট্রোক প্লে দিয়ে জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। ফ্লিক, পুল, স্ট্রেট ড্রাইভ, কাট—এই সব শট খেলেই তিনি বের করেছিলেন বাউন্ডারি। তিনি প্রায় ৭৮ বলের মধ্যে তার ফিফটি পূর্ণ করেন, এবং এরপর সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে আরও ৯টি বাউন্ডারি মারেন।
এদিন সাদমান ইসলামের ব্যাটিং ছিল দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উদ্বোধনী জুটি হিসেবে তিনি এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত একটি পার্টনারশিপ গড়েন। বিজয় শুরুর দিকে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন, বিশেষ করে পেসারদের শর্ট বল খেলার সময়, কিন্তু সাদমানের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের সাহায্যে বিজয়ের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। ১১৮ রানের ওপেনিং জুটিতে সাদমানের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
সাদমানের সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই বিজয় ফিরে গেছেন, কিন্তু তার ব্যাটিংয়ের পর সাদমান মুমিনুল হককে নিয়ে আরও কিছু রান যোগ করেন। বাংলাদেশের দল এখন এক উইকেট হারিয়েই দেড়শো রান পার করেছে, এবং তারা বিশাল স্কোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।