বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সাময়িকভাবে লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়, যা আসে এনআইডির মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশে।
এনআইডি লক হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাগরিকত্ব বা ভোটাধিকার হারান না, তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে যে ২২টি সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ করা যায়, তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই ২২টি সেবার মধ্যে রয়েছে: আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর (TIN), পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, শেয়ার বাজারে বিও হিসাব খোলা, ব্যাংক একাউন্ট চালু, জমি কেনা-বেচা, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ, সরকারি ভাতা উত্তোলন, মোবাইল সিম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, চাকরির আবেদন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এনআইডি লক হওয়া তালিকায় রয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ আরও কয়েকজন।
সরকারি সূত্র বলছে, এনআইডি লক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য বিভ্রান্তি, সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের ভিত্তিতে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ উঠে আসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।