ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। তারই অংশ হিসেবে আগামীকাল, ৭ এপ্রিল বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে ধর্মঘটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি প্রকাশের এই উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও সচেতন মানুষ একত্রিত হচ্ছেন।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংহতি ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রেও কর্মবিরতি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়াও দেশের সকল বিভাগে, বিভিন্ন সংগঠন এবং জনসাধারণের নিজস্ব উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী এবং সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাগরিক পার্টির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “আমাদের মজলুম গাজাবাসী ভাইবোনেরা আগামীকাল বিশ্বব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছেন। গণহত্যা বন্ধের দাবিতে একযোগে সব দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কিন্তু মুসলিম কিংবা মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শুধু বন্ধ রাখায় সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। বরং দল-মত নির্বিশেষে সারাদেশের ছাত্র ও জনতাকে একসাথে রাজপথে নেমে ইসরায়েলি খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা হয়তো এই মুহূর্তে গাজায় গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি না, কিন্তু নিজ ভূমির রাজপথে অন্তত দাঁড়াতে পারি। ‘বাংলাদেশ’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ এপ্রিল রাজপথে থাকাই হবে গাজার পক্ষে প্রকৃত সংহতি।”
‘MARCH For Palestine’ ব্যানারে আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।