শোইগু সতর্ক করে বলেন, ‘‘ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানো কোনো শান্তিরক্ষা মিশন নয়, বরং এটি রাশিয়ার ভূখণ্ডে এক নতুন আগ্রাসনের সূচনা হতে পারে।’’ তিনি আরো বলেন, এই বাহিনী মূলত ন্যাটো দেশগুলোর সেনাদের নিয়ে গঠিত হবে, যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু সময় ধরে তীব্র বিরোধিতা করছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই শান্তিরক্ষীদের ‘দখলদার’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে, যা ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ এবং ভূখণ্ডের ওপর এক নতুন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা এই হুঁশিয়ারির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন, কারণ শোইগু জানিয়েছেন যে, শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি শুধু ইউক্রেনে তীব্র সংঘর্ষের সৃষ্টি করবে না, বরং এটি ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের কারণ হতে পারে। এ ধরনের সংঘর্ষ যদি ঘটে, তবে তা বিশাল একটি আন্তর্জাতিক সংঘাতের জন্ম দিতে পারে, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও এই হুঁশিয়ারি সমর্থন করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইউক্রেনে কোনো ধরনের সামরিক বাহিনী মোতায়েন রাশিয়ার জন্য পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। তিনি এটিকে বিশ্ব ও ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য এক মারাত্মক বিপদ বলে উল্লেখ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, রাশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ করে আসছে এবং এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা শুধুমাত্র রাশিয়া এবং ন্যাটো বাহিনীর মধ্যে নতুন উত্তেজনা তৈরি করবে না, বরং এটি গোটা পৃথিবীর নিরাপত্তার জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠবে। বিশেষত, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং রাশিয়ার সঙ্গে তার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমঝোতা এবং কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব রাজনীতির শঙ্কা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক মহলে একটি বড় বার্তা দিচ্ছে— শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েন, যা প্রথমে শান্তির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে, তা শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।