সাদমান ইসলাম ও জয় ফিরলেও শান্ত-মুমিনুলে টিকে থাকল বাংলাদেশ


সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য একেবারেই অস্বস্তিকর। মাত্র ৩২ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার—সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটিতে প্রথম সেশন শেষে কিছুটা স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।

এই টেস্টে ফিরে আবারও হতাশ করেছেন বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম। ২৩ বল খেলে মাত্র ১২ রান করে বিদায় নেন ভিক্টর এনাউচির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। জিম্বাবুয়ের পেসার নিজের লাইন-লেংথে ছিলেন নিখুঁত, আর সাদমান ছিলেন বেশ অস্বস্তিতে। ফলে ইনিংস লম্বা করার সুযোগই পেলেন না তিনি।

একই ওভারেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার জয়, করেন ১৪ রান। এই জোড়া ধাক্কায় চাপে পড়ে বাংলাদেশ, দলের স্কোর তখন মাত্র ৩২। ওপেনিং জুটিতে ভালো সূচনা করেও বড় কিছু করতে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশের পুরোনো সমস্যা যেন আবার সামনে চলে আসে।

তবে সেই চাপ সামলে দৃঢ়তা দেখান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। শুরুতে বেশ দেখেশুনে খেললেও ধীরে ধীরে শট খেলতে শুরু করেন তারা। শান্ত ৪৩ বলে পাঁচটি চারে অপরাজিত ৩০ রান করেন, আর মুমিনুল ৪৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জুটির পঞ্চাশ আসে ৭৭ বলে।

এই সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে—শান্তর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে। তবে বলটি স্টাম্পের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, ফলে রিভিউ নষ্ট হয় প্রতিপক্ষ দলের।

লাঞ্চ বিরতির সময় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮৪ রান। যেখান থেকে দিনের বাকি সময়টুকুতে লম্বা ইনিংসের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

সাদমান ইসলামের ফেরার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে—এই অবস্থায় তাকে একাদশে রাখা কতটা যৌক্তিক ছিল? জাকির হাসানের মতো বিকল্প থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি সাদমান।

এই টেস্টে তিন পেসার আর দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং অর্ডারে অভিজ্ঞতা আর সম্ভাবনার মিশেলে দল সাজানো হলেও ইনিংসের শুরুতেই সেই ভারসাম্য কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তবে শান্ত ও মুমিনুল দেখিয়েছেন, ধৈর্য ও কৌশল থাকলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন