জকিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, যারা পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করে তাদের স্মরণশক্তি বহুগুণে বেড়ে যায়। এটা পবিত্র কুরআনের মু'জিযা। যারা পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করার পর অন্যান্য লেখাপড়ায় যায়, তারা সেখানে মেধার স্বাক্ষর রাখে। তবে পড়াশুনাটা ব্যক্তিগত মেহনত ও উস্তাদদের সংস্পর্শে থেকে তাদের দুআর ফসল। বিশেষ করে হিফজের ছাত্রদের মৃষ্টিমেয় কিছু উস্তাদের কাছে পড়তে হয়, সেজন্য এসব শিক্ষকদের প্রভাব ছাত্রদের উপর ব্যাপক থাকে। সুতরাং শিক্ষকদের পুরোপুরি সুন্নতে নববীর অনুসারী হয়ে ছাত্রদের প্রকৃত সুন্নতের পাবন্দ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি হিফজের শিক্ষার্থীদের তারতিলের সহিত তাজবীদ মোতাবেক পবিত্র কুরআন হিফজ করার গুরুত্বারোপ করেন। এবং নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রেখে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্য অন্তরে রেখে পবিত্র কুরআনের হিফজ করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। আল্লামা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জকিগঞ্জে ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালের পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ড জকিগঞ্জ উপজেলার সভাপতি হাফিজ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা আলী হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ। জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা মুশাহীদ আহমদ কামালী, জকিগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা এখলাছুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা আল-ইসলাহ'র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. কুতবুল আলম, জকিগঞ্জ লেখক পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা ফদ্বলুর রহমান, বারহাল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আহমদ হোসেন, মাইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের প্রভাষক হাফিজ মাওলানা আব্দুস সামাদ চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবি মহিউদ্দিন হায়দার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সিলেট জেলা সভাপতি মাস্টার আব্দুল খালিক, ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ মো. সেলিম, শায়খুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান মুহাদ্দিস ছাহেব (রহ)-এর ছোট ছাহেবজাদা মাওলানা আব্দুল বাক্বী খালেদ, জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জুবায়ের আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা আল-ইসলাহ'র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আল-আমিন সিদ্দিকী, জকিগঞ্জ উপজেলা আল-ইসলাহ'র প্রচার সম্পাদক মাওলানা ময়নুল হক, উপজেলা তালামীযের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ মো নায়িম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মুশাহীদ আলী হাফিজ মেছাব (রহ.)-এর বড় ছাহেবজাদা হাফিজ আব্দুন নূর, বালাউটি ছাহেব (রহ.)-এর ছোট ছাহেবজাদা মাওলানা শাহ মুনিবুর রহমান, জকিগঞ্জ পৌর আল-ইসলাহ'র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সেলিম আহমদ, ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ড জকিগঞ্জের অফিস সম্পাদক হাফিজ সাইদুল ইসলাম, হাফিজ আশরফ আলি, হাফিজ আতিকুর রহমান, উপজেলা আল ইসলাহ'র সদস্য আলাউদ্দিন সহ উপজেলার বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকগন।
ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ড জকিগঞ্জ উপজেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফিজ নূরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা তালামীযের সভাপতি হাফিজ কাওসার আহমদ, খলাছড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোশাহিদিয়া শিক্ষা ট্রাস্টের সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা ছালিক আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ হাবিবুর রহমান জাব্বির, হামদ/নাত পরিবেশন করেন লতিফিয়া ইসলামিক শিল্পী গোষ্ঠির সদস্যরা।
প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে জকিগঞ্জের বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৬৫ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।