ফিলিস্তিনের ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে সর্বাত্মক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা সহ সাধারণ মানুষ। ক্লাস বর্জন করে যোগ দেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এসব মিছিল সমাবেশ থেকে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ডাক আসে।
সিলেট শহরে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে নগরীর মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং ইসরাইলি বিভিন্ন কোমল পানীয় নষ্ট করা হয়।মিছিল সমাবেশ শেষে ফেরার পথে জিন্দাবাজার, বারুতখানা ও দরগাহ গেটে জুতা কোম্পানি বাটা এর শোরুম ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। রাস্তায় বের করে পোড়ানো হয় বাটার জুতা। বিকেল পৌনে ৪টায় ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সুপারস্টোর ইউনিমার্টের আম্বরখানা এলাকার ‘ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট’-এ ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া নগরের চৌহাট্টা এলাকার ‘ডমিনোজ পিৎজা’ ও কুশিঘাট এলাকায় কোকা-কোলার ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে এসব স্থানে পৌঁছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেএফসি ও বাটার একাধিক শোরুমে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা ইউনিমার্ট ও কোকা-কোলার ফ্যাক্টরির সামনে জড়ো হয় ভাঙচুরের জন্য। খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কেউ মামলা বা অভিযোগ করলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
এর আগে সকাল থেকে রাস্তায় ছিল বিভিন্ন সংগঠন। সকালে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং দুপুরে তালামীযে ইসলামিয়া, খেলাফত মজলিস, ইসলামি আন্দোলন সহ বিভিন্ন ইসলামি দল রাস্তায় নামে। বিকেলে বিএনপি, জামায়াত, বাসদ, ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।