![]() |
ছবি : সংগ্রহকৃত |
বিশেষত চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে এই বৃষ্টিবলয় বেশি সক্রিয় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে এসব অঞ্চলে ঘন কালো মেঘ জমে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বজ্রপাতের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। ১৪ এপ্রিলের পর সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় এই বৃষ্টিবলয়ের প্রভাব আরও তীব্র হতে পারে, যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯০ থেকে ১৩০ মিলিমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে এই বলয়ের প্রভাব মাঝারি মাত্রায় থাকবে। অন্যদিকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু এলাকায় এটি অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় থাকলেও, কিছু অংশে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিবলয়ের সময় দেশের আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা এবং সক্রিয় এলাকায় ভারী মেঘ ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
এই বৃষ্টিবলয় দেশের কৃষিক্ষেত্রে আশীর্বাদ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ১৩ দিনের বৃষ্টিতে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ অঞ্চলে প্রয়োজনীয় সেচের চাহিদা পূরণ হবে। তবে বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার সময় মাঠে কাজ করা কৃষকসহ সাধারণ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে সামুদ্রিক পরিস্থিতিও কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।