সিলেটে ডাক্তারের বাসায় গৃহকর্মীকে হারপিক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ


সিলেট নগরীর মেজরটিলা এলাকায় এক কিশোরী গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবার দাবি করছে, মেয়েটিকে নির্যাতনের পর জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে, যদিও পুলিশ ও চিকিৎসকরা এখনো মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করেননি।

শনিবার (২২ মার্চ) রাতে ১৬ বছর বয়সী লাকী আক্তারকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার নিয়োগকর্তা ডা. জাকারিয়া আহমেদ রুমেল ও তার পরিবার। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, লাকী পেটের ব্যথায় ভুগছিল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পরপরই জাকারিয়া আহমেদ ও তার পরিবার লাকীকে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ স্বজনদের।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাকীর মৃত্যু হয়। শাহপরান থানা পুলিশ তার মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে। পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে গলায় বিষক্রিয়ার আলামত পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে লাকীর পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের দাবি, এর আগেও লাকী ওই বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা আরও জানান, লাকীর শরীরে আগের নির্যাতনের চিহ্ন ছিল, যা প্রমাণ করে যে সে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা দাবি করেন, লাকীকে মারধর করে হারপিক পান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শাহপরান থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা গলায় বিষের আলামত পেয়েছি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এই ব্যাপারে নিহত গৃহকর্মীর মৃত্যুর বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জাকারিয়া আহমেদ জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ঘটনার দিন লাকি তার প্রেমিকের সঙ্গে বাসা থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়, একই সঙ্গে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। বাধা দেওয়ায় সে বিষপান করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।

নবীনতর পূর্বতন