স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সুলতান আহমদ দীর্ঘদিন ফ্রান্সে প্রবাস জীবন কাটিয়ে প্রায় সাত মাস আগে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরেন। তবে দেশে ফেরার পর থেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো, যা ক্রমেই তীব্র রূপ নেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং সুলতান আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে তার বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় দুলু মিয়াকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই সঙ্গে ঘাতক ছেলে সুলতান আহমদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুলু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। অভিযুক্ত সুলতান আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবার সূত্রে জেনেছি প্রবাস ফেরত সুলতানের মানসিক সমস্যা রয়েছে। যে কারণে তিনি এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।