জকিগঞ্জে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ডিসির মতবিনিময়

কর্মমুখী বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি  :সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু শুধু শিক্ষার্থীর সংখ্যা না বাড়িয়ে কর্মমুখী বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষে আমাদের কাজ করতে হবে। পাশের হার না বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতপক্ষে দক্ষ করে তুলতে হবে। বর্তমানে সময়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে। আধুনিক বিশ্বে বেঁচে থাকার জন্য নানা কলাকৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবনযাত্রায় আমরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছি। গতানুগতিক গ্রন্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা ডিগ্রিধারী শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করছে বটে; কিন্তু তা কর্মভিত্তিক না হওয়ায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে না। ফলে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রয়োজন কর্মমুখী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় হবে। তাই আমাদের উচিত এ শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব বাড়ানো। তাছাড়া ই-লাইব্রেরীর মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বইয়ের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে, যাতে একজন শিক্ষার্থী সহজেই তার পছন্দের বই কোন প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে আছে জানতে পারবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ আরো বলেন, মানুষ বাচে একটি স্বপ্ন নিয়ে। আমাদের শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখাতে হবে। আমাদের উচিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্বপ্নবাজ হিসাবে গড়ে তোলা। তারা যেন জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানমুখী করার লক্ষে তাঁদের মতামত শুনেন। সভায় উপজেলার কলেজ, মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাছুম মিয়া, জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না, জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এখলাছুর রহমান, হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল খালেদ মহিউদ্দিন আজাদ, মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাব্বির আহমদ, ঈদগাহ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, উপজেলা দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাও. আব্দুস সবুর, ডা. তোফাজ্জল আলী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুহিবুর রহমান, রশিদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী তাজুল। 

অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম আব্দুল আহাদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, উপজেলা প্রকৌশলী মজিবর রহমান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ ফখর উদ্দিন, উপজেলা সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য মিটুন, মহিলা বিষয়ক অফিসের প্রশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জুবায়ের আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, সাংবাদিক আব্দুশ শহীদ শাকির,  আজাদুর রহমান, সাইফুর রহমান প্রমুখ।

পরে জেলা প্রশাসক উপজেলার শরীফগঞ্জে রহিমপুর পাম্প হাউস পরিদর্শন করেন। এ সময় বিএসএফের বাধায় আটকে থাকা রহিমপুর পাম্প হাউস বিষয়ে সরকারের উর্ধতন মহলের সাথে অবহিত করবেন বলে জানান।

নবীনতর পূর্বতন