জকিগঞ্জের উত্তরকুল কাজীরপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ উদ্বোধন
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :: পবিত্র আসরের নামাজ ও এলাকাবাসীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের মধ্যে দিয়ে শনিবার (২৯ মার্চ) জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউনিয়নের উত্তরকুল কাজীরপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন পুণঃনির্মিত "উত্তরকুল কাজীরপাড়া পুরানবাড়ী জামে মসজিদ" এর উদ্বোধন করা হয়েছে। পুণঃনির্মিত মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ভিপি মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, মসজিদ পবিত্র ও উত্তম স্থান। মসজিদ প্রতিষ্ঠায় যারা সহযোগিতার হাত বাড়ান তাদেরকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করেন। মানুষ যত বেশি মসজিদে এসে নামাজের দিকে ধাবিত হবে সমাজ ততবেশি অপরাধমুক্ত হবে। নামাজ মানুষকে সকল ধরণের গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ দেশ। এদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সকল ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে। তিনি বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে দুর্নীতির মানসিকতা পরিহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মানুষ নামাজমুখী হলে সমাজে অপরাধ প্রবনতা কমে যাবে। বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
মসজিদের মোতায়াল্লী কাজী জয়নুল হকের উদ্যোগে মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ও কাজী মাহতাব আহমদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার, জেলা বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও এডিশনাল পিপি এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সেলিম, জেলা বিএনপির সহ-ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন রাজু, সিলেট উইমেন্স মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার, বারঠাকুরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিক, সাধারণ সম্পাদক কাওছার রশিদ বাবু, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান রুমী, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জিয়াউর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য আবুল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মসজিদের মুতাওয়াল্লী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী জয়নুল হক জানান, ১৯৫০ সালে বর্তমান স্থানে উত্তরকুল কাজীরপাড়া পুরানবাড়ী জামে মসজিদ স্থাপিত হয়। মসজিদের ভূমি দান করেছিলেন আমার দাদা মরহুম কাজী নজীব আলী ও তাঁর চাচাতো ভাই মরহুম কাজী শরাফত আলী এবং মসজিদের ওযুখানার জায়গা দান করেছিলেন আমার পিতা মরহুম কাজী শামসুল হক। তাঁরা আজ বেচে নেই। বর্তমানে আমরা এই মসজিদ পরিচালনা করছি। পুরাতন মসজিদের স্থলেই এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ পুনঃনির্মাণের কাজ শেষ করতে পেরে আমরা মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের স্বাস্থ্য ও ত্রাণ সম্পাদক ডা. কাজী রিযাজ উদ্দিন, কাজী শফিকুর রহমান পংকি, মসজিদের সেক্রেটারি কাজী আব্দুল আহাদ, কোষাধ্যক্ষ কাজী শিহাব উদ্দীন, ব্যবসায়ী কাজী সালেহ আহমদ, কাজী সাব্বির আহমদ, কাজী আজাদ ও এবাদুর রহমান চৌধুরী সহ মসজিদ কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা। এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লীরা মসজিদের ভূমিদাতা মরহুম কাজী নজীব আলী ও কাজী শামসুল হক সহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করেন।
জানা যায়, প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার অধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ মসজিদে উদ্বোধনী দিনে পাঁচ শতাধিক মুসল্লী একসাথে ইফতার ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন খলিফায়ে মাদানী শায়খ আবদুল গাফফার মামরখানি (রহ.)-এর ছাহেবজাদা মুনশীবাজার জামেয়া ফয়জেআম মাদ্রাসার নাইবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান কাসেমী।