এ বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা মুনতাসিরের কর্মকাণ্ডকে ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থি হিসেবে দেখছেন। তারা দাবি করছেন, বাংলাদেশে যেখানে ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগণ বসবাস করে, সেখানে এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, এনসিপির দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন এবং ফেসবুক পোস্টে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমি একজন মুসলমান, এবং আমি আমার এই পরিচয় ধারণ করব।" তিনি আরও জানান, “আমার দেশের মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করে কখনও রাজনীতি করবো না। যা হয়েছে, সেটা ছিলো একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল, আমরা তা সংশোধন করব।"
সারজিস আলমও একই মন্তব্য করেছেন, তিনি বলেন, “আমরা কোনো ভুল করলে তা সংশোধন করব, এবং আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন।” তাদের এই বক্তব্য দলের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনসিপির নেতারা তাদের ভুল স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় হলো, মুনতাসির মামুনের পদ এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিতর্ক এনসিপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে।