এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ সম্পদ চুক্তি চূড়ান্ত করা, তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে রাশিয়া প্রসঙ্গ। জেলেনস্কি প্রকাশ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নরম মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "পুতিনের সঙ্গে আপোস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
ট্রাম্প পাল্টা জবাবে বলেন, "পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান। তবে ইউক্রেনকে কিছু ছাড় দিতেই হবে।" তিনি জেলেনস্কিকে সতর্ক করে বলেন, "একটি চুক্তি করুন, নইলে আমরা আপনাদের সঙ্গে নেই। আমাদের ছাড়া আপনাকে একাই লড়তে হবে।"
এক পর্যায়ে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন না এবং মার্কিন সহায়তা নিয়ে যথেষ্ট সম্মান দেখাচ্ছেন না। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও জেলেনস্কিকে ‘অভদ্র’ বলে মন্তব্য করেন।
জেলেনস্কির সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প বলেন, "আমি রাশিয়ার পক্ষে নই, ইউক্রেনের পক্ষেও নই—আমি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি চাইলে আরও কঠোর হতে পারি, তবে এইভাবে আপনি কোনো চুক্তি করতে পারবেন না।"
বৈঠক শেষে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করেন, আর ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, "যখন তিনি (জেলেনস্কি) শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন ফিরে আসতে পারেন।"
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু একটি কূটনৈতিক বৈঠক ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতির ফলে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।