রোজার নিয়ত ও তাৎপর্য
রোজার নিয়ত হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার সংকল্প করা। ফরজ রোজার জন্য ফজরের আগে নিয়ত করা আবশ্যক। তবে, নফল রোজার জন্য দিনের বেলা, যদি ফজরের পর কিছু খাওয়া না হয়, তাহলে দুপুরের আগ পর্যন্ত নিয়ত করা যায়।
রোজার নিয়তের দোয়া (আরবি, উচ্চারণ ও অর্থসহ)
আরবি: نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
বাংলা উচ্চারণ:
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার সন্তুষ্টির জন্য পবিত্র রমজানের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। তুমি আমার রোজা কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
নিয়ত মনে মনে করলেই যথেষ্ট, তবে মুখে বলা সুন্নত। নিয়ত করা ভুলে গেলে রোজা সহীহ হবে না, তাই ফজরের আগে নিশ্চিতভাবে নিয়ত করা উচিত।
ইফতারের দোয়া ও ফজিলত
ইফতারের সময় দোয়া পড়া সুন্নত এবং এটি দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ মুহূর্ত।
ইফতারের দোয়া (আরবি, উচ্চারণ ও অর্থসহ)
আরবি:بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"রোজাদারের ইফতারের সময় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।" (তিরমিজি, হাদিস: ২৫২৫)
অতএব, ইফতারের আগে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রমজানের রোজা আমাদের জন্য আল্লাহর দেওয়া এক মহান ইবাদত। সঠিকভাবে রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক এবং ইফতারের সময় দোয়া পড়া সুন্নত। রোজার সময় এই নিয়ত ও দোয়াগুলো অনুসরণ করলে আমাদের রোজা আরও সঠিকভাবে আদায় হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব হবে।