কোরআনে সুরা কদরে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” (সুরা কদর: ১-৩)। হাদিসেও এসেছে, “যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে শবে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বোখারি)।
এই রাতে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বিভিন্ন ইবাদত করেন, যার মধ্যে রয়েছে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার এবং দোয়া। মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাসাবাড়িতে সারারাত ইবাদত-বন্দেগি চলবে, এবং মাগরিব ও এশার নামাজ জামাতে আদায় করলে শবে কদরের পূর্ণ ফজিলত লাভ করা সম্ভব।
এছাড়া, শবে কদর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মসজিদে ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি চ্যানেলগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে।
আজকের পবিত্র শবে কদরের রাতে মুসলমানদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ রয়েছে। সকলের জন্য দোয়া করা উচিত, যেন মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই পবিত্র রাতের রহমত ও বরকত লাভের তৌফিক দান করেন।