ম্যাচের শুরুতেই আতলেতিকোর ঝড়ো আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বার্সেলোনা। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে যায় মাদ্রিদের দলটি। প্রথম মিনিটেই আন্তোয়ান গ্রিজমানের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন হুলিয়ান আলভারেস। এরপর আলভারেসের দুর্দান্ত পাস থেকে ৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান গ্রিজমান।
হঠাৎ দুই গোল খেয়ে জেগে ওঠে বার্সেলোনা। ১৯তম মিনিটে লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে পেদ্রি গোল করে ব্যবধান কমান। দুই মিনিট পর কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান তরুণ ডিফেন্ডার পাউ কুবারসি।
এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। ৪১তম মিনিটে রাফিনিয়ার কর্নার থেকে ইনিগো মার্তিনেস হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দানি অলমোর শট রুখে দেন আতলেতিকো গোলরক্ষক হুয়ান মুসো, নাহলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
বিরতির পরও বার্সেলোনা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। ৭৪তম মিনিটে লামিন ইয়ামালের দুর্দান্ত ড্রিবলিং ও নিখুঁত পাস থেকে গোল করেন বদলি নামা রবার্ট লেভানডোভস্কি। ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিতই মনে হচ্ছিল বার্সেলোনার জন্য।
কিন্তু শেষ মুহূর্তের নাটক তখনও বাকি ছিল। ৮৪তম মিনিটে মার্কোস ইয়োরেন্তের দুর্দান্ত শটে ব্যবধান কমায় আতলেতিকো। এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আলেকজান্ডার সোরলথের জোরালো শটে সমতায় ফেরে তারা।
শেষ মুহূর্তের এই ধাক্কা সামলে আর গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। অন্যদিকে, আতলেতিকো মাদ্রিদ দুর্দান্ত কামব্যাক করে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের জন্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরছে। এখন ফাইনালে ওঠার ভাগ্য নির্ধারিত হবে দ্বিতীয় লেগেই!