বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রিহান আহমদ বলেছেন, বিদ্যালয় মানব সম্পদ তৈরির সবচেয়ে বড় জায়গা। মানুষের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় শিক্ষার মাধ্যমে। কলম যত দামি হোক, কালি না থাকলে যেমন মূল্যহীন, তেমনি মানুষ যতই শিক্ষিত হোক, যদি তার ভেতরে বিবেক, মানবিকতা, শ্রদ্ধাশীলতা ও আন্তরিকতা না থাকে, তবে সে মূল্যহীন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুন্দর হলেই হবে না, আমাদের জানতে হবে, শিখতে হবে, প্রত্যয়ী হতে হবে এবং স্বপ্ন দেখতে হবে। এজন্য পুরো বই পড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা হৃদয় থেকে শিক্ষা দেন, তারা যেন একেকটি মোমবাতির মতো, যাদের আলো ছড়িয়ে দিতে হয়। শিক্ষা ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে দেওয়া উচিত। শিক্ষকেরা শুধু দিয়ে যান, আর শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করে। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হতে হবে ভালোবাসাভিত্তিক।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) "চলো যাই, শৈশবে"—এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বনাথ উপজেলার আলহাজ্জ লজ্জতুন্নেছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের রুবি জয়ন্তীর সমাপনী দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানো ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করার মধ্য দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
প্রধান বক্তা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, "পীর লিয়াকত হোসেন যদি এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করতেন, তাহলে আজকের মতো এমন মিলনমেলা সম্ভব হতো না। আমাদের ডাকে দূর-দূরান্ত থেকে যারা এসেছেন এবং রুবি জয়ন্তী সফল করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।"
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুলশী কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুকাব্বির আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—সিলেট এমসি কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রবীর রায়, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য রেদওয়ান আহমদ সুহেল, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি গোলাম রব হাসনু এবং বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ধর্মীয় শিক্ষক আবুল বশর মোহাম্মদ ফারুক, সাবেক শিক্ষক নুরুল ইসলাম, ব্যাংকার ইসলাম উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতার সন্তান ইফতেখার হোসেন বাবর, রইছ আলী, আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কয়েছ মিয়া, আছমা বেগম, নুরুজ্জামান মিয়া, রাসেল আহমদ, গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও মাহনাফ আহমদ ইয়ামিন।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মাহজাবিন মানহা।
পরে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সায়হান আহমদ।