এদিকে, রোববার দিবাগত রাত ৩ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী দোসররা’ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে অর্থের মাধ্যমে অপকর্ম চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই দোসরদের কোথাও দাঁড়াতে, বসতে কিংবা শুতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন আরো কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করে।”
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বলে দিতে চাই, আওয়ামী দোসররা যে কাজগুলো করছে, তাদের আমি ঘুম হারাম করে দেব, তারা কোথাও স্থান পাবে না।” এছাড়াও, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
ছাত্রসমাজের দাবি অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলেও যথাযথ কার্যক্রম চালাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে এবং পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ থাকলেও তিনি আশ্বস্ত করেন, “মা-বোনদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সবসময় চিন্তিত। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে কাজ করছে।”
গভীর রাতের এই সংবাদ সম্মেলন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা যেভাবেই হোক, জনগণকে সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাব।” তবে, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সত্যিকার উন্নতি কতটা সম্ভব, এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব হবে?