মিশ্রি আরও জানান, বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যখন এক ভারতীয় সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ‘ডিপ স্টেট’ বা ছায়া রাষ্ট্রের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানান, বাংলাদেশে ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ভারত এই অঞ্চলে শতাব্দীকাল ধরে সক্রিয় রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশ সম্পর্কে যা জানেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে, ট্রাম্প বলেন, বিষয়টি মোদীর উপর ছেড়ে দেন। মোদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তিনি ইউক্রেনের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের ভূমিকা তুলে ধরেন। এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি জানান, মোদি বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা ট্রাম্পের কাছে জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সম্পর্ক আরও গঠনমূলক ও স্থিতিশীল রাখার আশা প্রকাশ করেছেন।
মিশ্রি আরও বলেন, ভারত আশা করে যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমনভাবে উন্নতি করবে, যাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী এবং গঠনমূলক পথে এগিয়ে যাবে। তবে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে, যা ভারতীয় নেতৃত্ব ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরেছে।
এই আলোচনার মাধ্যমে, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতে সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।