নাহিদ ইসলামের পোস্ট অনুযায়ী, তিনি ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন, যা সরকারি সম্মানী গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়। তিনি জানিয়েছেন যে, তার এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০,৬৯৮ টাকা জমা হয়েছে এবং ৯,৯৬,১৮৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, তিনি কোনো অন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেননি এবং তার সমস্ত লেনদেনের হিসাব একেবারে স্বচ্ছভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরেছেন।
এছাড়া, তিনি আরো জানিয়েছেন, তার দায়িত্বকালীন সময়ে তিনি বা তার পরিবারের কেউ বাংলাদেশে কোথাও কোনো জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনেননি। তার এই স্বচ্ছ ঘোষণায় তার সততার প্রতি গভীর আস্থা তৈরি হয়েছে, যা অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যও একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।
এমনকি, তার একান্ত সচিবের ব্যাংক হিসাবও তিনি প্রকাশ করেছেন। ওই হিসাব অনুযায়ী, তার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে ৩৬,০২৮ টাকা রয়েছে, এবং তিনিও দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো সম্পত্তি কেনেননি।
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, এই সকল তথ্য বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী যেকোনো সরকারি দপ্তর থেকে যাচাইযোগ্য। তার এই পদক্ষেপ সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচারের প্রতি এক নতুন বার্তা প্রদান করছে।
নাহিদ ইসলামের এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অনেকেই এটিকে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ানোর একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে কিছু মানুষের মতে, এটি একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপও হতে পারে, যার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
নাহিদ ইসলামের এই পদক্ষেপ দেশব্যাপী স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার মানদণ্ড স্থাপন করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।