ছবি:সংগ্রহকৃত |
এই হারে সিলেটের টানা জয়হীনতার বৃত্ত আরও বড় হলো, আর ঢাকার জন্য এ জয় মানে টুর্নামেন্টে নতুন সম্ভাবনার দরজা। পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে উঠে এসে তারা এখন ছয়ে অবস্থান করছে, অন্যদিকে সিলেট স্ট্রাইকার্স সাত নম্বরে নেমে এসেছে।
ঢাকা ক্যাপিটালসের ইনিংস শুরু হয় ঝড়ো ব্যাটিং দিয়ে। তানজিদ তামিম ১৬ বলে ২২ রানের ঝলক দেখান। কিন্তু ইনিংসের আসল ভিত্তি গড়েন লিটন দাস। তার ৪৮ বলে ৭০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস দলের স্কোরকে শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যায়। থিসারা পেরেরা ছিলেন আরও মারমুখী। ১৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে তিনি সিলেটের বোলিং লাইন আপকে ভেঙে দেন।
সিলেটের সুমন খান এবং রুয়েল মিয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও থিসারা-পাথুম নিশাঙ্কার জুটি ১৯৬ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে সাহায্য করে।
১৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা হতাশাজনক হয় সিলেটের। দুই ওপেনার জর্জি মানজি (৩) এবং জাকির হাসান (৮) দ্রুত বিদায় নেন। তবে রনি তালুকদার একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে খেলায় ফেরান। ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া রনি শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৬৮ রান করেন।
শেষদিকে আরিফুল হক ও জাকের আলী মিলে ঢাকার বোলারদের চাপে ফেলেন। ১৩ বলে ২৮ রান করেন জাকের, আর সমান ১৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আরিফুল। কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ ডেথ ওভার বোলিং এবং থিসারা পেরেরার নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথ সিলেটকে জয়ের ঠিক সামনে গিয়ে থামিয়ে দেয়।
ঢাকার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান এবং থিসারা পেরেরা ছিলেন বোলিংয়ের নায়ক। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। আর থিসারা ২৮ রান খরচায় শিকার করেন ২টি মূল্যবান উইকেট। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের সুনিপুণ বোলিং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করে।
এই হারে শীর্ষে থাকা সিলেটের জয়ের ধারায় ফেরার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। তবে রনি তালুকদার এবং আরিফুল-জাকেরের লড়াই ভক্তদের মন জয় করেছে। অন্যদিকে ঢাকার জন্য এ জয় মানে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। টুর্নামেন্টে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে লিটন দাসের দল।
আজকের দিনটি ঢাকার গৌরবের দিন, তবে সিলেটের জন্য তা দুঃখের। ভক্তদের আশা, সিলেট তাদের ভুলগুলো কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপাতত ঢাকার এই নাটকীয় জয়ই রয়ে যাবে আলোচনার কেন্দ্রে।