কানাইঘাটে সুরমা নদীর তীরে জমে উঠেছে শীতকালীন সবজির হাট

কানাইঘাট প্রতিনিধি :
সিলেটের কানাইঘাটের শীতকালীন সবজির আলাদা খ্যাতি রয়েছে সারাদেশে। বিশেষ করে টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মিষ্টি লাউয়ের গুণগত মান ভালো ও পুষ্টিকর হওয়ায় বৃহত্তর সিলেট বিভাগে এখানকার সবজির চাহিদা রয়েছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ কৃষি জমি জুড়ে এখন নানা সবজির সমারহ। 

চারদিকে ঘন কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সুরমা নদীর তীরে বসে হাট। চাষিরা নৌকায় নৌকায় সাজিয়ে নিয়ে আসেন বিভিন্ন রকমের সবজি। চলে শাক সবজির কেনাবেচা। সকাল ১০ ঘটিকার আগেই আবার শেষ হয়ে যায় হাটের বেচাকেনা।
কানাইঘাট বাজারের খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরমার চরে বসে বিশাল এই সবজির হাট। হাটে টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, কাচামরিচ, শিম, লাউ, ফরাস, কিরা, ও নানা জাতের শাক সবজি নিয়ে কৃষকেরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দর হাকাহাকি করেন।

শীতকালীন এই সবজির হাটে কথা হয় চাষি রহিম উদ্দিন সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সবজির দাম কম পাচ্ছেন।

কয়েকজন সবজি চাষির সাথে কথা বলে জানা যায় কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের কারিগরি সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে উৎপাদন বেড়েছে শীতকালীন সবজির। সব সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে।

তারা আরও বলেন উৎপাদন বাড়লেও বাজার সিন্ডিকেটের কবলে শীতকালীন সবজি চাষিরা। ব্যবসায়ীরা সবজি চাষিদের ন্যায্য মূল্য দিতে চায় না।

প্রতিদিন এই হাটে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার সবজি বিক্রি হয়। এখানে মুলত পাইকারি বিক্রি করা হয়। স্থানীয় সবজি চাষিরা বলেন গতবছর এই সময় টমেটোর কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, এবছর তারা বিক্রি করছেন ১২ থেকে ১৫ টাকা।

কানাইঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান  শীতকালীন সবজি আবাদের অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ফলন পেয়েছেন ভালো। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সবজি চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন