মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম থেকেই বিপদে পড়ে রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার স্টিভেন টেইলর শূন্য রান করে ফিরে যান। তার পরেই সাইফ হাসানও ৮ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
রংপুরের ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করলেও, তিনিও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। ১৭ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর রংপুর ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। এরপর, চারে নামা ইফতিখার আহমেদ এক প্রান্ত ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২১ বলে ৯ রান করে এবং ইরফান শুক্কুরও ২ বলে ১ রান করে ফিরে যান।
এমন পরিস্থিতিতে, ইফতিখার আহমেদ সাবলীলভাবে ব্যাটিং চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে মেহেদী হাসান অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ২২ রান করে। ফলে, রংপুর রাইডার্স ২০ ওভারে ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
চিটাগং কিংসের বোলিংয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন খালেদ আহমেদ, যিনি ২ উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম এবং শামীম হোসেন ১টি করে উইকেট পান।
চিটাগং কিংসের ব্যাটিংয়ে শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। ওপেনিং এ ব্যাটার লাহিরু মিলিন্থা এবং পারভেজ হোসেন ইমন দুইজনেই পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে খুব একটা রান তুলতে পারেননি। তবে, ইমন ধীর গতিতে খেলতে থাকেন এবং তার ৪৩ বলে ৪১ রানের ইনিংসে চিটাগং কিংস কিছুটা ধারায় আসে।
এরপর, হায়দার আলী ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন এবং ১৮ বলে ৪৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। হায়দারের অপরাজিত ব্যাটিংয়ের ফলস্বরূপ, চিটাগং কিংস ১৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়।
এই জয় চিটাগং কিংসকে তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে। তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে পরাজিত না হলে তারা প্লে-অফে জায়গা করে নেবে। রংপুরের বোলিংয়ে আকিফ জাভেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি করে উইকেট নিলেও, চিটাগংয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে তা ব্যর্থ হয়।