ঘরের মাঠে বিপিএল যাত্রা রাঙানোর স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ করেও অ্যালেক্স হেলসের বিধ্বংসী ইনিংসে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৮ উইকেটের বড় পরাজয় বরণ করতে হলো তাদের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্স দুর্দান্ত সূচনা করে। ওপেনিংয়ে রনি তালুকদার ও জজ মান্সি মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। জজ মান্সি ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হলেও রনি ও জাকির হাসানের ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল থাকে।
রনি তালুকদার ৩২ বলে ৫৪ রান করেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। অন্যদিকে, জাকির হাসান ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। মিডল অর্ডারে অ্যারন জোন্সের ১৯ বলে ৩৮ এবং শেষদিকে জাকের আলির ৫ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে সিলেট ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের বড় স্কোর দাঁড় করায়।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুর রাইডার্স শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের অসাধারণ পারফরম্যান্সে। ২ রানে আজিজুল হাকিম তামিম শূন্য রানে ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৮৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন এই দুই ব্যাটার।
সাইফ হাসান ৪৯ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন, কিন্তু অ্যালেক্স হেলস ছিলেন পুরোপুরি বিধ্বংসী। মাত্র ৫৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর তিনি ৫৬ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৭টি ছক্কার মার। ১৯তম ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
ব্যাটিং বিভাগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও সিলেটের বোলিং বিভাগ বড় লক্ষ্য রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং তাদের জয় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
ঘরের মাঠে এই পরাজয়ে স্থানীয় সমর্থকদের মন ভেঙে গেলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এখনো রয়েছে। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে বোলিং বিভাগে উন্নতি এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স প্রদর্শনই হতে পারে তাদের জয়ের মূলমন্ত্র।
ম্যাচ হাইলাইটস:
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫
রংপুর রাইডার্স: ১৯ ওভারে ২ উইকেটে ২০৭
সিলেটের টপ স্কোরার: রনি (৫৪), জাকির (৫০)
রংপুরের নায়ক: অ্যালেক্স হেলস (১১৩ অপরাজিত)
সিলেটি আবেগ এবার মাঠেও প্রমাণ করতে হবে। স্থানীয় দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে দলটিকে আরও দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে।