আরিফুল হকের ফিনিশিংয়ে ঢাকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেল সিলেট


চলমান বিপিএলে ঢাকার জন্য সাফল্যের খোঁজ যেন মরীচিকা। টানা ছয় ম্যাচে হারের বৃত্তে বন্দী ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপরীতে সিলেট স্ট্রাইকার্স ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে নতুন উদ্দীপনায় ফেটে পড়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল স্থানীয় দর্শকদের উৎসাহ আর আনন্দের ভরপুর। জাকির হাসানের ঝলমলে অর্ধশতক এবং অধিনায়ক আরিফুল হকের দায়িত্বশীল ফিনিশিংয়ের মাধ্যমে সিলেট ঢাকার দেওয়া ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে তিন উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এ জয় কেবল একটি ম্যাচ নয়, বরং আত্মবিশ্বাসের পুনর্জাগরণ। জাকির হাসানের ২৫ বলে অর্ধশতক যেন দলের লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ২৭ বলে ৫৮ রানের চমৎকার ইনিংসে তার ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। দর্শকদের মনে এই ইনিংস অনেক দিন অমলিন থাকবে।

৮৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দল যখন চাপে, তখন দৃঢ়তায় সামনে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক আরিফুল হক। শেষদিকে ১৫ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে তিনি দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত জয়। তার ব্যাটে থাকা প্রত্যয় ও অভিজ্ঞতা যেন সিলেটের পুরো দলকে উজ্জীবিত করেছে।

সিলেটের ইনিংসের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। প্রথম বলেই রাকিম কর্নওয়ালের এলবিডব্লিউ আউট এবং এরপর জর্জ মুন্সির দ্রুত বিদায়ে মাত্র ১৯ রানেই ২ উইকেট হারায় সিলেট। তবে সিলেটের দলীয় চেতনাই ছিল তাদের জয়ের মূলমন্ত্র।

সিলেটের মানুষের ক্রিকেটপ্রেম আর আবেগ আজ মাঠে পূর্ণরূপে প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিটি চার-ছক্কায় গ্যালারি যেন উৎসবের রূপ নেয়। এ জয় কেবল একটি ক্রিকেট ম্যাচের সাফল্য নয়, বরং সিলেটবাসীর গর্বের প্রতীক।

ঢাকার টানা ছয় হারের বিপরীতে সিলেটের এ জয় নতুন দিকনির্দেশনা দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। স্থানীয় দর্শকদের জন্য এ জয় এক অনুপ্রেরণা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পরবর্তী ম্যাচেও এমন পারফরম্যান্স দেখার আশায় সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীরা দিন গুনছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন