ছবি : সবুজ প্রান্ত |
দুর্ঘটনার পর থেকেই সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বাস মালিক সমিতি কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ রাখে। রোববার বিকেল থেকে সোমবার পর্যন্ত পুরো রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে সোমবার রাতে ধর্মঘটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গোলাপগঞ্জ হয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে, ধর্মঘটের কারণে কাঁচাবাজারসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, সিলেট থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আনতে তাদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন জানান, "আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যারা বাস ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই।" তিনি আরও বলেন, "আজ বিকেলে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের একটি বৈঠক রয়েছে। আমরা আশা করছি, বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং বাস চলাচল আবার স্বাভাবিক হবে।"
স্থানীয় যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারবার বাস চলাচল বন্ধ করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। তারা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলাবাসী দ্রুত এ সমস্যার সমাধান ও পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে।
উবেদুল্লাহ তালুকদার : সবুজ প্রান্ত ডটকম