সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি থেকে পদত্যাগের ঢেউ: নেতৃত্ব কি প্রশ্নবিদ্ধ?


সিলেটের নবগঠিত   বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি থেকে ছয়জন সদস্য একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনাটি সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গেল ৫ ডিসেম্বর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ২৭২ সদস্যের সিলেট জেলা কমিটির অনুমোদন দেন। তবে, অনুমোদনের কিছুদিনের মধ্যেই পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে পদত্যাগকারীরা জানিয়েছেন, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ঐক্যে ভূমিকা রাখতে হলে পদ-পদবী নয়, বরং নিজ নিজ অবস্থান থেকেই কাজ করা সম্ভব।

পদত্যাগকারীরা ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে বলেন, “দেশের বিপ্লবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অবদান রেখেছে। তবে, এমন কমিটির কারণে জনগণের ঐক্যে ভাঙন ধরতে পারে। আমাদের মতে, নিজের পরিবার ও দেশের জন্য ভালো কিছু করতে হলে আনুষ্ঠানিক পদ-পদবীর প্রয়োজন নেই।”

পদত্যাগকারী ছয় সদস্য হলেন-  আব্দুল গাফফার আফজল, শেখ উসমান ফারুক, আরিফ আহমেদ চৌধুরী,ফাহিমুজ্জান, তৌসিফ আহমেদ চৌধুরী,এবং অমিত হাসান।

সংগঠনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেন এই বিষয়ে বলেন, “এটি স্বাভাবিক ঘটনা। হয়তো তারা এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে আগ্রহী নয়। প্রত্যেকেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।”

তবে তিনি আরও জানান, “কমিটির সদস্যদের নাম স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। হয়তো নাম যাচাই না করেই পাঠানো হয়েছিল, যা এই সমস্যার কারণ হতে পারে।”

এই পদত্যাগের ঘটনা সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়াই সদস্য অন্তর্ভুক্তির কারণে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটে জেলা কমিটি কীভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং নতুন নেতৃত্ব গঠন করবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন