প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : জকিগঞ্জে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জলমহাল দখল, চাঁদা দাবী ও মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে ফেরদৌস আহমদ নামের স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার উপর। অভিযুক্ত ফেরদৌস আহমদ জকিগঞ্জের খলাছড়া গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। শনিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দাবীদার ঐ নেতার মামলা ও হয়রানি থেকে প্রতিকার চেয়ে এমন আকুতি জানান ভুক্তভোগীরা। কান্দিবাড়ী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের উপদেষ্টা নূরুল হক, জাকারিয়া আহমদ জাকির ও মাইজকান্দি গ্রামের মনসুর আহমেদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, সদরপুর মৌজার ১০৯ নং দাগে সাতকরি জলকর নামক জলমহালে ১ একর ১০ শতক জায়গা আমাদের নিজেদের দখলে ও রেকর্ডে আছে। ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দাবীদার ফেরদৌস ঐ জায়গায় গিয়ে চাঁদা দাবী করে বলেন, আমাকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে উক্ত জলমহাল ভোগ করতে পারবে না। এর প্রেক্ষিতে ফেরদৌস আহমদ সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বিগত ২৫ নভেম্বর শাহ আলম বাদী হয়ে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ধূর্ত ফেরদৌস আহমদ ২৭ নভেম্বর মাছচুরির অভিযোগ এনে আমাদের ১৩ জনের উপর জকিগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা দায়ের করেন। উক্ত মাছচুরির মামলার অভিযোগে বর্ণিত ভূমি নিয়ে উচ্চ আদালতে সিভিল ডিভিশনে মামলা নং ১৯৫৭/২০০০ চলমান আছে। তবে, মামলাটি আদালতে গড়ালে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাদের জামিন হয়।
বর্তমানে ঐ নেতা আমাদের লোকজনকে মামলার হুমকি ধমকি ও আমাদের জায়গা জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের একাধিকবার অবগত করেছি। আমরা এর প্রতিকার চাই।