জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের হালঘাট গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশ ও প্লাস্টিকের জালির বেড়া দিয়ে নিজের আপন বোন ও তার পরিবারকে চলাচলে বেকায়দায় ফেলেছেন ছোট বোন ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম উনি। বাড়ি থেকে বেরোনোর পথে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দীর্ঘ তিন মাস পরিবারের লোকজন ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
জানা যায়, হালঘাট গ্রামের মৃত রইছ আলীর কোন পুত্রসন্তান না থাকায় ৩ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। এক বোন পাশ্ববর্তি গ্রামে স্বামী নিয়ে সংসার করছে। অপর দুইবোন স্বামী সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে বসবাস করছেন। বৃদ্ধ মা তাদের দুজনের মধ্যে থাকেন। তাদের মধ্যে জাহানারা বেগম উনির স্বামী ভারতীয় নাগরিক। তারা তাদের ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ এই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। পাশাপাশি ছোটবোন রুনু বেগমের বিয়ে হয়েছিল বারঠাকুরী ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের সাথে। তিনি ও তার ৫ মেয়ে ও ২ ছেলে সহ একই বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন।
রুনু বেগম বলেন, আমাদের মা ও আমার বড় বোন জাহানারা বেগম উনি বাবা মৃত্যুর পর থেকে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। পৈত্রিক বসত বাড়িতে সকল অংশে আপোষে চিহ্নিতমতে আমরা তিন বোন মায়ের অংশ থাকা স্বত্বেও তিনি ক্ষমতাসীন ইউপি সদস্য হওয়ায় বাধা প্রদান সহ নানানভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।
বিগত প্রায় তিন মাস পূর্বে আমার বড় বোন সুলতানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম উনি এবং তার ছেলে আল-আমীন, মেয়ে পাপিয়া বেগম ও স্বামী আব্দুল মুকিত (মকু) মিয়া পরিকল্পিত ভাবে ঝগড়াঝাটি করে মনোমালিন্যতা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে আমার বাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশ ও প্লাস্টিকের জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে দেন। এতে বাড়িতে আসা-যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না, অজু গোসলের জন্য পুকুরেও যেতে পারছি না। এছাড়া গরু বাছুর নিয়েও রয়েছি চরম বিপাকে। তিনি ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হওয়ায় স্থানীয় ন্যায় বিচার থেকেও বঞ্চিত বলেন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রুনু বেগম।
এ ব্যাপারে মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম উনি বলেন, আমার জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি। তারপরও বিষয়টি যদি কোন সালিশে যায়, আমি মেনে নেব।
সুলতানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামীম জানান, এ ব্যাপারে আমি অনেকবার বিষয়টি আপোষ মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও কাউকে একসাথে বসাতে পারি নাই।
জানতে চাইলে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমাকে বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অবগত করেননি।