চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীদের হামলায় এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভের এক পর্যায়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর আজ চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। জামিন নামঞ্জুরের পর তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে তাঁর অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা আইনজীবী আলিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী মো. হাসান জানান,"সংঘর্ষের মধ্যেই আমাদের সহকর্মী আলিফকে বিক্ষোভকারীরা এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।"
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ জানান, সংঘর্ষে আহত অবস্থায় সাত-আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে আলিফকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র এবং আইনজীবীদের দাবি, চিন্ময়ের অনুসারীরাই এই হামলার জন্য দায়ী। সংঘর্ষের সময় তাঁরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালান।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং আগামীকাল বুধবার কর্মবিরতির ডাক দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার লিয়াকত আলী বলেন,"সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।"
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র। গত সোমবার তাঁকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।