সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভাড়ারিফৌদ গ্রামে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর (বুধবার) বিকেলে নিখোঁজ হওয়া মুনতাহার নিথর দেহ পাওয়া যায় রোববার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে তার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ তার গলায় রশি পেঁচানো এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে। কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, "মুনতাহার লাশ উদ্ধারের সময় তার গলায় রশির দাগ এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা পরিকল্পিত হত্যার ইঙ্গিত দেয়।" পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে মারজিয়া নামে এক মহিলা ও তার মা ও নানিকে গ্রেফতার করেছে।
মুনতাহা গত ৩ নভেম্বর সকালে তার বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে। পরে প্রতিদিনের মতো আশপাশের শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন, কিন্তু সেদিন আর তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের দাবি, মুনতাহাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছিল, এবং এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়।
মুনতাহার পরিবার শুরু থেকেই অপহরণের সন্দেহ করছিল এবং তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালায়। পুলিশও পরিবারের সন্দেহের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে।
মুনতাহা আক্তার জেরিন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে।
সবুজ প্রান্ত/উবেদুল্লাহ