![]() |
ছবি: বাফুফে |
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সামনে এক রোমাঞ্চকর ফাইনালে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটায়। দর্শকদের হৃৎপিণ্ডে উত্তেজনা ছড়িয়ে প্রথমার্ধে গোলশূন্য সমতা রেখে মাঠ ছাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠের চিত্র বদলে দেয় তিনটি গোল। বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিশ্চিত করে।
প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের দেখা পাওয়ার জন্য দুর্দান্ত আক্রমণ চালালেও ভাগ্য যেন অপেক্ষা করছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। মাত্র ৫২ মিনিটেই সাবিনার পাস থেকে তৈরি হওয়া আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ভুলে মনিকা চাকমা অসাধারণ এক গোল দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন। মনিকার সেই গোল বাংলাদেশের শিরোপা নিশ্চিতে প্রথম ধাপ রাখে।
কিন্তু নেপালি ফুটবলারাও সমান তালে পাল্টা আক্রমণ চালায়। মাত্র চার মিনিট পর সাবিত্রা ভান্ডারির নিখুঁত পাসে আমিশা কার্কির শট গোলকিপারকে পরাস্ত করে সমতা ফেরায়। স্বাগতিকদের এমন পাল্টা আক্রমণে আবারও উত্তেজনায় ভরে ওঠে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামের
গ্যালারি। তবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রতিজ্ঞা বজায় রেখে আক্রমণে অটল থাকে।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে আসে সেই মোক্ষম মুহূর্ত। ঋতুপর্ণা চাকমার বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শট নেপালের গোলকিপার আঞ্জিলার হাত ছুঁয়ে জালের ভেতরে চলে যায়। স্বপ্না রানীর বদলি হিসেবে নামা ও যোগ করা ঘড়ির কাঁটায় ম্যাচের সময় বাকি সময়ে মিনিট মিনিট পাঁচেক গোলবিহীন কাটিয়ে বাংলাদেশ জয়ের উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশের প্রতিটি খেলোয়াড় নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়েছে। তাদের লড়াই শুধু একটি ম্যাচ জয়ের নয়; বরং দেশকে গর্বিত করার এক নতুন ইতিহাস তৈরি।
সবুজ প্রান্ত / উবেদুল্লাহ
বিষয়
খেলাধুলা