সিলেটের জকিগঞ্জে মধ্যরাতে রহস্যজনক ভাবে গাড়ির গ্যারেজে আগুন লেগে মুহুর্তেই ছাই হয়ে যায় ১০ টি সিএনজি গাড়ী। যার মুল্য আনুমানিক অর্ধকোটি টাকার মত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত অনুমান ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকরা হলেন ফতেপুর গ্রামের মাসুম আহমদ, মাইজগ্রামের রেহান আহমদ, সমসখানী গ্রামের কাশিম আহমদ, নিদনপুর গ্রামের রেদোয়ান আহমদ, আলী হোসেন, জাহেদ আহমদ, শাহনাজ আহমদ, ইমরান হোসেন, মুজাক্কির আহমদ ও মোশাররফ আহমদ।
জানা যায়, উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রামে আব্দুল আজিজের সিএনজি গ্যারেজে রহস্যজনক আগুনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত শাহজাহান আহমদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল রাতেও আমরা গ্যারেজে গাড়ি রেখে চলে আসি। রাত অনুমান ১২টার দিকে গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গিয়ে দেখি একই গ্যারেজে থাকা গ্যারেজ মালিক আব্দুল আজিজের গাড়ি ছাড়া সকল গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের ধারণা অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় অনেকে বলেন, কিস্তিতে ক্রয় করা গাড়ির এখনো ঋণ পরিশোধ করতে পারিনি। গাড়িগুলি পুড়িয়ে আমাদেরকে একদম নিঃস্ব করে দেওয়া হয়েছে।
গ্যারেজ মালিক আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ রুবেল আহমদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় চালক ও গাড়ি মালিকরা গ্যারেজে গাড়ি রেখে চলে যায়। আমাদের গ্যারেজে দুটি রুম একপাশে সিএনজি ও আরেক পাশে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা রাখা হয়। যে রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ওই রুমে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এবং সিএনজি গাড়ি কোন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। আমার ধারণা চালকরা গাড়ি বন্ধ করে রেখে যাওয়ার সময় ভুলবশত জলন্ত সিগারেট ফেলে যায় তা থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন আমার গাড়ি গ্যারেজের দরজার সামনে থাকায় পুড়েনি। ঘটনার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক এটা আমিও চাই।
জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস.এম মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানা পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাথে কারো সম্পৃক্ততা থাকলে অবশ্যই আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।