সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা মো হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি বলেন - আমি শুস্ক মৌসুম থেকে বেড়িবাধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতীয় সংসদে দাবী উত্থাপন করেছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বার বার তাগিদ দিয়ে আসছি। সঠিক সময়ে কাজ হলে আজকে আমার এলাকায় এমন পপরিস্থিতি হতো না, এটা অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয়। আমি হজ্বে যাওয়ার পূ্র্বেও এসব ভাঙ্গনে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে গেছি। আমি বারবার বলেছি, নদী ভাঙ্গন সমস্যা দূর করার চেয়ে বেড়িবাঁধ আগে রক্ষা করে বন্যা নিয়স্ত্রণ জরুরী। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও আমি দেখেছি বেড়িবাঁধের অনেক যায়গা নিচু রেখে কাজ শেষ করা হয়েছে। এগুলো আমার কাছে মনে হয় সাপ মেরে লেজে বিষ রাখার মত বিষয়! এসব বিষয়কে মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছি। মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি মঙ্গলবার সকালে জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ মেরামত কাজের পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেই মঙ্গলবার সকালে জকিগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রারাই, শষ্যকুড়ি, ছবড়িয়া ও জকিগঞ্জ পৌরসভার নরসিংহপুর গ্রামের ভাঙ্গনে মেরামত কাজের পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বেড়িবাধের যে সব স্থান নিচু রয়েছে সে স্থান গুলোতে দ্রুত মাটি ভরাট সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্গতির কথা শুনে তাদের দু:খ্য লাগবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কে দ্রুত কাজ করা আহবান জানান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা আফতাব আহমদ, লতিফিয়া এতিমখানা ফুলতলীর ব্যবস্থাপক মাওলানা ফারহান আহমদ চৌধুরী রেদা, জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব লায়েক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, আওয়ামী লীগ নেতা এমএজি বাবর, নাসিম আহমদ, কাউন্সিলর রুহুল আমীন রিপন, আবুল কালাম, সাবেক কাউন্সিলর মাসুদ আহমদ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।