ড. জাফর ইকবালকে একটা সময় অনেক শ্রদ্ধা করতাম। তার লিখা বই পড়তাম আগ্রহ ভরে।
নব্বই দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা
অর্জন করেছেন তার অসাধারণ লিখনির কারনে। Science Fiction এর উপর বই লিখে তিনি
বাংলা সাহিত্যে নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেন। তাছাড়া তার লিখা দীপু
নাম্বার টু অনেক জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র।
আমেরিকায় লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়ে ১৯৯৪ সালে দেশে এসে
তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন কম্পিউটার
সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে।
আমাদের তখনকার তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি আলোর পথের অগ্রপথিক হিসাবে আবির্ভূত হন।
কিন্তু আমরা কোন ভাবেই বুঝতে পারিনি যে তিনি হ্যামিলনের সেই বাঁশি ওয়ালার মত
বাঁশির মোহনীয় সুরে ভুলিয়ে আমাদের জাতিকে অন্ধকারের পথে নিয়ে যাবেন।
আমরা জানি তার মত লোকেরা আমাদের জাতীয়
শিক্ষা কারিকুলামের কতটা ক্ষতি করেছেন।
কিছুইনা শুধু জাতীয় কারিকুলামের নবম দশম শ্রেণীর যে কোনো একটি বিষয়ের বইয়ের
সাথে একই বিষয়ের ইংরেজী মাধ্যমের O Level এর বই নিয়ে কনটেন্টের তুলনা করুন।
স্পষ্ট বুঝতে পারবেন আমাদের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামের দুর্দশা। কতটা পিছিয়ে আছে
আমাদের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম। ইংরেজী মাধ্যম কারিকুলাম কেন প্রতিবেশী দেশ ভারত
এবং শ্রীলংকান শিক্ষা কারিকুলামের চেয়ে ও আমাদের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম অনেক
অনেক পিছিয়ে। আর এর পেছনে ড. জাফর ইকবালের মত লোকেরাই দায়ি।
ড. জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের " The Illustrated Theory of
Everything" বইয়ের Black Holes অধ্যায়টি হুবহু অনুবাদের অভিযোগ রয়েছে। অথচ
তিনি ও হতে পারতেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী কিংবা অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
আমার বিশ্বাস জাফর ইকবাল অচিরেই একটি জাতীয় গালির নাম হবে। ইতিহাস তাকে ক্ষমা
করবেনা। মীর জাফরের পথেই একালের জাফর ইকবাল।
বিষয়
সাহিত্য সম্ভার