দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করবে। তবে পারিবারিকভাবে একজনকে বিয়ে দেওয়া হয় এবং বিয়ের পর এক বান্ধবী বাবার বাড়িতে আসলে অপর বান্ধবী তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। কিন্তু ঐ বান্ধবী অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় মনের দুঃখে অপর বান্ধবী ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যাকারী রিয়া খাতুন (১৭) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল হকের মেয়ে। সে কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
রিয়া আত্মহত্যার আগের দিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন- ‘কতো মানুষই তো মরে আমি মরলে দোষ কিবা তাতে।’
নিহতের ফুফু টুম্পা খাতুন জানান, তার ভাতিজি রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা একজন অপরজনকে একদিন না দেখে থাকতে পারত না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করার; কিন্তু হটাৎই নুসরাতকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয় এবং বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে আসলে রিয়া তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় রিয়া নিজেকে গৃহবন্দি রাখেন।
মঙ্গলবার পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিলে রিয়াকে যাওয়ার জন্য পরিবারের সবাই অনুরোধ করলে সে শরীর খারাপের অজুহাত দেখিয়ে বাড়িতে থাকে। রাত ১২টার দিকে তারা বাড়িতে ফিরে রিয়াকে ডাকাডাকির একপর্যায়ে তার বসত ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
বিষয়
আত্মহত্যা