জকিগঞ্জে স্কুলছাত্র মুসরাফ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে বিক্ষোদ্ধ জনতা। নির্মম এই হত্যাকান্ডের এত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারে নি প্রশাসন। রবিবার বিকাল ২টার সময এমএ হক চত্তরে মুসরাফ হত্যান্ডের প্রতিবাদে জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহন করে। মানববন্ধনে নিহত মুসরাফের মা, বোন ও চাচা শামীম আহমদ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুততম সময়ে মধ্যে স্কুলছাত্র মুসরাফ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি আলি আহসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমদ শিবলুর পরিচালনা বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রৌশন শ্যামলী, জকিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গনি, প্রবাসী ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, মনোরঞ্জন মনি, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ মিছবাহ, সহ সাধারণ সম্পাদক মিল্টন রায়, দপ্তর সম্পাদক মঈন উদ্দিন মনই, ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাসান, জকিগঞ্জ ইউনাইটেড এসোসিয়েশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাছিত তালুকদার, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা বাবর হোসাইন চৌঃ, মোসারারফের চাচা শামিম আহমদ চৌঃ, এওলাসার সমাজ কল্যাণ সংস্থা সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক চৌঃ, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতীফ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আব্দুস সবুর, জকিগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল কদ্দুস,রতনগঞ্জ এলাকার তাজুল ইসলাম, কৃষক লীগ সেক্রেটারি বেলাল আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি জকিগঞ্জের গোলাম মোস্তাফা একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্র মুসরাফ হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী নান্দিশ্রী গ্রামের ঈদগাহে একটি ওয়াজ মাহফিল গেলে সেখান থেকে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করে না পেয়ে তার বাবা তিনদিন পর জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ৬ দিন পর জকিগঞ্জের কুছিরখালে মুসরাফের অর্ধগলিত লাশ ভেসে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে মুসরাফের চাচা শামীম আহমদ গিয়ে লাশটি সনাক্ত করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে মুসরাফের পিতার সাথে সাক্ষাৎ দ্রুত সমযের মধ্যে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশ দেন সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য মাও. হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি।