জকিগঞ্জে ১০ টি স্থানে বাঁধ ভাঙ্গা, পানি বন্দি লাখো মানুষ : তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট

সাপ্তাহিক সবুজ প্রান্ত ::::

সিলেটের জকিগঞ্জের বারঠাকুরি ইউনিয়নের আমলশীদে বরাক-সুরমা-কুশিয়াযারা তিন নদীর মোহনায় কুশিয়ারা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার গত সাড়ে ১২টায় বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুনকরে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এই নিয়ে মোট ১০টি স্থানে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।

বারঠাকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা চৌধুরী বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর এলাকায় প্রচার করেন। বাঁধ ভাঙার সাথে সাথে আমলশীদ, পিল্লাকান্দি, বারঠাকুরী, খাসিরচক, বারোগাত্তা ও সোনাসার এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।

বিগত দিনের সকল বন্যা থেকে এবারের বন্যা জকিগঞ্জে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। বন্যার কারনে গ্রামীন সকল রাস্তা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কটিও গাড়ী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বানভাসি মানুষ এই মুহুর্তে তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়ছে। কারণ বন্যার কারনে পুকুর, জলাশয় ও সব ধরনের নলকুপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের কারনে অনেক গ্রামে মানুষের ফ্রীজের খাবার পচে নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে জকিগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও পল্লব হোম দাস জানান, উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা বন্যা কবলিত। বাকি ইউনিয়নগুলোর অধিকাংশ এলাকা এখন বন্যায় আক্রান্ত। প্রায় ১০০টি গ্রামের লাখো মানুষ এখন পানি বন্দী। বারহাল ইউনিয়নের শরীফাবাদ, নূরনগর, উত্তর খিলোগ্রাম, নোয়াগ্রাম, কচুয়া, চক, বারকুলি গ্রামে এবং মানিকপুর ইউনিয়নের বাল্লাগ্রামে সুরমার ডাইক ভেঙে গেছে। বন্যার্তদের জন্য ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুই দফায় ৩৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আউশ ফসল, সবজি, ফিশারী-পুকুরের মাছ, গ্রামীণ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, জকিগঞ্জের এই ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে সুরমা-কুশিয়ারার তীরবর্তী ভাটি এলাকা বিয়ানীবাজার, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট শহরে পানি বৃদ্ধি পাবে।
নবীনতর পূর্বতন