প্রগতিশীল পাঠক সংঘ ‘শৈলী’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সামিম গাজী। ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর বালুচরস্থ জামিআ সিদ্দিকিয়া মিলনায়তনে সংগঠনটনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৯ম বার্ষিক সাধারন সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
শৈলী সভাপতি সুফিয়ান আহমদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শৈলীর প্রধান উপদেষ্টা কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনু। তিন পর্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল ৯:৩০ মিনিটে। এই পর্বে শৈলীর সভ্যরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২য় অধিবেশনে শৈলীর ২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারন সম্পাদক সাইয়্যিদ এবং বিগত বছরের আয় ব্যায়ের হিসাব ও ২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থ-সম্পাদক রুমন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা হেলাল হামাম, উপদেষ্টা সালেহ আহমদ সাদী, উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাফর ইকবাল। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শৈরীর শুভাকাঙ্ক্ষী মাওলানা সাইদুল ইসলাম, শৈলীর কেন্দ্রীয় সদস্য দেলওয়ার হোসেন এবং সদস্য ও শৈলী নারী শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক সামিয়া আফরিন আঁখি।
৩য় অধিবেশনে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন শৈলীর উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ মবনু। শৈলীর সভ্যদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল এবং সার্বিক কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে সদস্য নির্বাচন করেন নির্বাচন কমিশন। কমিশনে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কবি সৈয়দ মবনু এবং কমিশনের সদস্য হেলাল হামাম এবং সদস্য সালেহ আহমদ সাদী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শৈলীর প্রধান উপদেষ্টা কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনু বলেন, শৈলী একটি ব্যাতিক্রমধর্মী সংগঠন। এর মূল কাজ হলো তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান বুদ্ধির দিক দিয়ে আগানো। জ্ঞান এবং বুদ্ধির সমন্বয়ে মানুষ যখন কর্ম করে তখন কর্মগুলো হবে মঙ্গলময়। দেশে সংগঠনের অভাব নেই কিন্তু মননশীলন নেতৃত্বের অভাব। শৈলীর উদ্দেশ্য হচ্ছে মন ও মননশীল ব্যক্তি গঠন। যা সঠিক নেতৃত্ব লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ন। শৈলী মূলত এদিকে কাজ করে যাচ্ছে। শৈলী চাচ্ছে দেশের সর্বশ্রেনির মানুষের হৃদয়ে জ্ঞান বুদ্ধি কর্ম এবং প্রেমের সমন্নয়ে দয়াদর্শন জাগাতে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সুফিয়ান আহমদের বক্তব্যের মাধ্যমে ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।