অধ্যক্ষ আল মামুন; কৃতজ্ঞতায় জকিগঞ্জ

প্রভাষক আবুল কালাম আযাদ
আব্দুল্লাহ আল মামুন যিনি সর্ব মহলে সাংবাদিক আল মামুন নামে পরিচিত। ২০০৪ সালে জকিগঞ্জের বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসায় রাষ্টবিজ্ঞান প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করেই আপাদমস্তক জকিগঞ্জি হয়ে যান। হবিগঞ্জ আর জকিগঞ্জের গুনের সমন্বয় ঘটে তার চরিত্রে। কঠোর পরিশ্রম, মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা, সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ, কাজের প্রতি আন্তরিকতার এক দৃষ্টান্ত ছিলেন আল মামুন। জকিগঞ্জের মাটি ও মানুষের প্রতি ছিলো এক নিখাদ হৃদ্দিক সম্পর্ক। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সিলেট বিভাগে ছিলো খ্যাতি। সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ, মাষ্টার ট্রেইনার হিসেবে সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।অবলীলায়, প্রাঞ্জল ভাষায় একজন বাগ্মি। জকিগঞ্জের শিক্ষিত  সরকারি চাকুরী প্রত্যাশীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন " স্পেশাল হেল্প ফর প্রাইমারী জব"। 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্স পড়াকালীন সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় যোগদান। প্রথম আলো,ইত্তেফাক,সবুজ সিলেট, সর্বোপরি ZAKIGONJNEWS24.com এর সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় কাজ। জকিগঞ্জের সাংবাদিকতাকে একটি সমৃদ্ধশালী,আদর্শ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে আল মামুনের অবদান অস্বীকার করা অকৃতজ্ঞতার সামিল। জকিগঞ্জের শিশু কিশোরদের লেখা- পড়ার ও সঞ্চয়ী মনোভাব তৈরী করতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিচিত্রধর্মী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করেছেন প্রিয় বন্ধুটি। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ মুলত ভাগ্যবান। আল মামুনের মত একজন চৌকষ প্রিন্সিপাল ওরা পেয়েছেন। বন্ধু তুমি কাজের লোক হবিগঞ্জকে আলোকিত করো আপন প্রভায়। ভুলনা জকিগঞ্জকে। ছোট ভাই নুরু, ভাবি,ভাতিজা আদিব ও ভাতিজিদের জকিগঞ্জবাসি আপন করে রাখবে যতদিন রিজিক জকিগঞ্জে। তোমার জন্য শুভ কামনা।

নবীনতর পূর্বতন