জুবায়ের আহমদ :::
পৌরসভার পর এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসি। গ্রামগঞ্জে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। হাট-বাজার, পথ-ঘাট, চায়ের দোকানে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আলোচনা। কে হচ্ছেন প্রার্থী, পাস করবেন কে, ভোট দিলে কাকে কাছে পাওয়া যাবে এসব ভোটারদের আলোচনার বিষয়। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি এখন ইউনিয়ন নির্বাচন ঘিরে সরগরম।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সিলেটের জকিগঞ্জে সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোট ও দোয়া নিতে ছুটছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
গত শনিবার সকালে জকিগঞ্জের থানাবাজার এলাকার রারাই জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুন সংগঠক, সাংবাদিক এম এ হাফিজ খালেদ গ্রামবাসী ও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা করেছেন।
সভায় বক্তারা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে জকিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারমান প্রার্থী এম এ হাফিজ খালেদকে বিজয়ী করার জন্য ইউপিবাসীর প্রতি আহবান জানান।
হাফিজ খালেদ রারাই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবার মরহুম আব্দুল জলিল (টরই মাস্টার) সাহেবের সুযোগ্য সন্তান। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, হত-দরিদ্র জনগণকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা আসছেন।
হাফিজ খালেদ সিলেটের পাঠকপ্রিয় সাপ্তাহিক সুরমা টাইম ও সুরমা টাইমস অনলাইন’র শুরু থেকেই একজন সক্রিয় সংবাদকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাছাড়া তিনি দৈনিক সবুজ সিলেট সহ সুরমা টাইমস পরিবারের অন্যান্য পত্রিকায় কাজ করেছেন।
জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত আরোও যাদের নাম শুনা যাচ্ছে, তারা হলেন- আ'লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাও. আফতাব আহমদ ও আ'লীগ নেতা আব্দুছ ছবুর, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি হাসান আহমদ, খেলাফত মজলিস নেতা মাও. আলাউদ্দীন তাপাদার, স্বতন্ত্রভাবে সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ।
শুধু জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নয়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন। অনেক প্রার্থী নানা রংয়ের ব্যানার পোস্টারের মাধ্যমে তাদের প্রার্থিতা জানান দিতে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসমূহে তাদের উপস্থিতি লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে।