সাপ্তাহিক সবুজ প্রান্ত ::::
সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্বাবধানে জেলায় ৬টি সংসদীয় এলাকার ৩৬টি মাদরাসার আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় অবস্থিত মাদরাসাগুলো থেকে নির্বাচিত ৬টি করে মাদরাসায় এই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।
এভাবে ৬ এলাকায় ৬টি করে মোট ৩৬টি মাদরাসার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে। এসব মাদরাসা সংস্কার, ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ, কম্পিউটার ল্যাব আইসিটিল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম স্থাপন করতে ব্যয় হবে ১১৮ কোটি টাকা। ৩৬টি মাদরাসার মধ্যে ৩৫টি মাদরাসায় প্রতিটিতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা করে। শুধু গোয়াইনঘাট বাউর ভাগ হাওরের দাখিল মাদরাসার নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। মাদরাসা গুলোর বহুতল ভবন নির্মান কাজ শেষ করতে ২/৩ বছর সময় লাগতে পারে।
গোয়াইনঘাট হাওর অঞ্চলের বাউর বাঘ দাখিল মাদরাসায় বন্যার সময় যাতে বন্যা কবলিত মানুষেরা আশ্রয় নিতে পারে মাদরাসাটি সেই আদলে নির্মান করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম জানান মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীদের আধুনিক ও প্রযুক্তি গত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য প্রতিটি মাদরাসায় কম্পিউটার ল্যাব, আইসিটি ল্যাব ও মালটি মিডিয়া ক্লাস রোম থাকবে। প্রতিটি মাদরাসা ভবন ৪তলা বিশিষ্ট করে গড়ে তোলা হবে।
নির্বাচিত মাদরাসা গুলোর উন্নয়ন শীর্ষক নামে এই প্রকল্পের আওতায় সিলেটের ৬টি সংসদীয় এলাকায় ৬টি করে মোট ৩৬ টি মাদরাসা নির্মান করা হবে। দাখিল, আলিম ও কামিল পর্যায়ের মাদরাসা এর মধ্যে রয়েছে। সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে ৪ তলা বিশিষ্ট মাদরাসা ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রাখালগঞ্জ দাখিল মাদরাসা, ফেঞ্চুগঞ্জ মসাহিদ আলী আলিম মাদরাসা, গোয়াইনগাটের আঙ্গাজুর দাখিল মাদরাসা, গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি আলিয়া মাদরাসা, বাগলা আরাবিয়া দাখিল মাদরাসা, কাটালবাড়ি চৌমহনী দাখিল মাদরাসা। এগুলোর কাজ পুরো দমে এগিয়ে চলছে। গোয়াইনঘাট বারহাল আলিম মাদরাসার সুপার মাওলানা নেছার আহমদ জানান, সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদরাসার আধুনিকায়ন অবশ্যই সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ।
এমন উদ্যোগ দ্বীনি শিক্ষার প্রসার ঘটাবে বলে আমি মনে করি। অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী অনন্ত কুমার ভৌমিক জানান, বরাদ্দ স্বল্পতার কারনে মাদরাসাগুলোর কাজ দ্রুত গতিতে করা যাচ্ছেনা যেখানে বরাদ্দ প্রয়োজন প্রায় ২০ কোটি টাকা সেখানে ২/৩ কোট টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে করোনা কালিন সময়ে বরাদ্দ কম আসলেও কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে মাদরাসা গুলো চালু হবেনা বলে তিনি জানান।
অধিদপ্তরের ঠিকাদার আব্দুল হক জানান, আমরা শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিষ্টান গুলোর নির্মান কাজ করে যাচ্ছি। বরাদ্দ স্বল্পতার কারনে কাজে ধীর গতি হচ্ছে। নির্ধারিত বরাদ্দ যাতে দ্রুত আসে এব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।