সাপ্তাহিক সবুজ প্রান্ত :::
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস ছালাম কর্তৃক মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন। ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম, এবাদুর রহমান ও সহযোগি আনোয়ার হোসেন ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-২৪, তারিখ-২১/১০/২০১৯ইং।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের পুলিশ সুপার ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেন, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সামাজিক বিচারের নামে বাশেঁ ঝুলিয়ে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। সামাজিক বিচারের নামে কাউকে অভিযুক্ত করে এ ধরনের মারধর আইন বর্হিভূত ও জঘন্য কাজ। ঘটনাটি আমাদের নজরে আসামাত্রই আমরা অনুসন্ধানে নামী। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘটনাটি ৪/৫ মাস পূর্বের। ইতোপূর্বে এ ঘটনা সংক্রান্ত কোন তথ্য বা অভিযোগ থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়নি। ভিডিওটি দেখার পর তাৎক্ষনিক ভোক্তভোগি ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে মামলা করার অনুরোধ করি। অদ্য তার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-২৪ তারিখ-২১/১০/২০১৯ রুজু করা হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হবার সাথে সাথে অভিযুক্ত সালাম মেম্বার এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতারে গত রাত হতে দফায় দফায় বিভিন্ন থানা এলাকায় গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে অদ্য বিকাল আনুমানিক ৫ টার সময় ভারতে পালিয়ে যাবার সময় কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা কাড়াবাল্লা নামক স্থান হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এছাড়াও যার বাড়িতে ঘটনা সেই এবাদ মেম্বার এবং যে ব্যক্তিরা তার পায়ে রশি বেধেছিল সেই আনোয়ার হোসেন ও মো: শাহজাহান কে গ্রেফতার করি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সালাম মেম্বারে এর অন্যান্য অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য উদঘাটনের জন্য এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে আগামীকাল আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড এর আবেদন দাখিল করা হবে। ধন্যবাদ সকলকে যারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।