এমন নিদানকালেও যারা বইয়ের সাথে সম্পর্ক ছাড়েননি, তাদের জন্য লেখক-পাঠক-গবেষক, জকিগঞ্জ লেখক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল হেলালের কিছু মুল্যবান টিপস। আপনি পাঠক হন বা নাই হন৷ যা এক নজরে দেখে নিলে কম আয কম অল্প-বিস্তর যে লাভবান হবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
বইপাঠ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
আমরা যারা বই কিনি, বই পড়ি তারা নিম্নোক্ত পরামর্শগুলো গ্রহণ করতে পারি। এতে আমাদের বইপাঠ অনেক বেশি ফলপ্রদ হবে।
(ক) নতুন কোন বই কেনার পর বইয়ের গায়ে এক কোনাতে ক্রয়মূল্য ও ক্রয় তারিখ লিখে রাখুন। আর যদি হাদিয়া হয় তবে কে দিলো সেটা টুকে রাখুন।
(খ) বইটি কবে পড়লেন শেষ করার তারীখ লিখে রাখুন শেষ পৃষ্ঠায়। চাইলে কবে শুরু করেছিলেন পড়া তা-ও লিখে রাখতে পারেন। এতে করে বইটা শেষ করতে আপনার কতোদিন লেগেছিলো পুরোটা তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
(গ) বই পড়া শেষ হলে সেটি কেমন লাগলো সামগ্রিকভাবে আপনার একটি সংক্ষিপ্ত মূল্যয়ান লিখে রাখুন বইয়ের প্রথম পাতার সাদা অংশে। এতে করে সেই বই অন্য কেউ পড়তে চাইলে বইটা সম্পর্কে সহজেই একটা ধারণা লাভ করতে পারবে।
(ঘ) প্রতিটি বই থেকে নতুন কি জানলেন তা সংক্ষিপ্তভাবে বইর শেষ দিকে নোট করে রাখতে পারেন। এতে করে কোন বই থেকে আপনি নতুন কী জানলেন সেটা জানা থাকবে। ধরুন আপনি সুমাইয়া রা. এর ঘটনা পড়ে জানলেন যে তিনি ইসলামের প্রথম শহীদ। তো শেষ পাতায় লিখুন> ইসলামের প্রথম শহীদ সুমাইয়া রা. (অমুক পৃষ্ঠা)।
এতে করে লাভ যেটা হবে তা হলো, বইয়ের শেষ থেকে ওই তালিকাটা দেখে সে পৃষ্ঠাগুলোর উপর আরেকবার নজর বুলালেই পুরো বইটা আপনার দ্বিতীয়বার পড়া হয়ে যাবে। মনে রাখবেন, একশোটা বই পড়ে ভুলে যাবার চেয়ে পাঁচটা বই পড়ে গৃহীত তথ্যাবলী মনে রাখা অধিক ফায়দাজনক।
(ঙ) অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দাগ টেনে চিহ্নিত করতে পারেন। এবং বইর শেষে তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখতে পারেন। যেমন, অমুকের মৃত্যুর কারণ ৩৪ পৃষ্ঠা।
বইপাঠে এসব বিষয় লক্ষ্য রাখুন। আপনার অধ্যয়ন অধিক ফলপ্রসু হবে ইনশাআল্লাহ। আমি নিজে এসব করি এবং এর দ্বারা অনেক উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।