সোমবার সকালে জকিগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কেছরী গ্রামের প্রবেশ মুখে রাস্তার দুইপাশে লাগানো দুটি বোতলপাইন গাছ অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন,
২০০৬ সালে জকিগঞ্জ পৌরসভায় প্রথম নির্বাচিত পরিষদ গঠন হবার আনুমানিক ১ বছর পর পরিষদের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রত্যেক ওয়ার্ডের বড় বড় রাস্তার সম্মুখে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ২ টি করে বোতলপাইন গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নং ওযার্ডে কেছরী গ্রামের পুরাতন হাসপাতালের পাশের রাস্তায় ২ টি গাছ লাগানো হয়। অত্যন্ত দুঃখ্যের সাথে লিখতে হচ্ছে পল্লীবিদ্যুৎ সেটা কেটে ফেলেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে দেশে কি কোন প্রকার আইন কানুন নেই যে, পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যখন ইচ্ছা তখন জনগণের গাছ কেটে ফেলে দিবেন? আমিও এলাকাবাসীর সাথে সুবিচার চাই।
৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন নজরুল বলেন, আমার বাসার পাশেই গাছ দুটি কাটা হয়েছে। বিষয়টি আমিও জানি না। গাছ না কেটে ছেটে দিলেও চলতো। বিষয়টি আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।
জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেই পৌরসভার মেয়রকে মৌখিকভাবে জানিয়ে আমরা গাছ কেটেছি।
এদিকে পৌরসভার মেয়র হাজী খলিল উদ্দিন বলেন, আমাদের লাগানো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দামী গাছ অনুমতি ছাড়াই কাটা হয়েছে। আমাদেরকে জানালে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত দিতে পারতাম। অপ্রয়োজনে গাছ কাটা ঠিক নয়। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বলেন, জকিগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যেখানে গাছ কাটা প্রয়োজন নিয়মের মধ্যে থেকে সেখানে গাছপালা কাটতে পারে তারা। গাছগুলির গোড়ার দিক থেকে না কেটে ডালপালা কেটে দিলে চলতো।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, যে কোনো গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সুযোগ পেলেই গাছ কাটা অনেকটা নেশা হয়ে গেছে। গাছ বাঁচিয়ে কাজ করা গেলে গাছ বাঁচাতে হবে। গাছ কাটতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে।
