এই শব্দ সন্ত্রাসের অবসান হোক : মাওলানা মোঃ আবদুল আউয়াল হেলাল

রাত বারোটা হওয়ার পথে। হুজুর ওয়াজ করছেন।বেশিরভাগ কথা অপ্রাসঙ্গিক। কিসসা কাহিনীর সাথে সাথে ভিন্ন মতাবলম্বিদের উপর কদর্য ভাষায় আক্রমণ তো আছেই।ঘটনাস্থলের চারদিকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দূরে দূরে বিভিন্ন গাছের মগডালে জুড়া জুড়া লাউড স্পিকার বেঁধে দেয়া হয়েছে। ভাবখানা এমন যেনো শালা শুনবি না! তুই শুনবি, তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীকে শুনতে হবে।
বাড়িতে ঘোরতর অসুস্থ আমার মা। সঙ্গত: কারণেই রাত নয়টার মধ্যে তাঁর ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত। না হয় শারিরীক নানা জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিশ্চয়ই আসপাশের গ্রামগুলোতে এরকম জটিল রোগাক্রান্ত মানুষজন থাকতেই পারেন। কে বুঝাবে এই অবিবেচক আয়োজনকারি এবং বক্তাকে। এর বিরোধিতা কেউ করলে পেট পুঁজারী কোন মোল্লা হয়তো তাকে নাস্তিক মুরতাদ ফতোওয়া দিয়ে দিতে পারে। দিক, সমস্যা নেই।
কিন্তু ভাববার বিষয় হলো- ইসলাম কী মানুষকে এভাবে কষ্ট দেয়া অনুমোদন করে। যদি করে থাকে তবে তার দলীল ? আর যদি না করে থাকে তবে এই মোল্লাদের লাগাম টেনে ধরবে কে ?
আমি মনে করি এগুলো নি:সন্দেহে শব্দ সন্ত্রাস। এই শব্দ সন্ত্রাস এবং শব্দ সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে হলে এলাকায় এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।

নবীনতর পূর্বতন