মাওলানা ইসহাক আমীর ও ড. আহমদ আব্দুল কাদের মহাসচিব
সাপ্তাহিক সবুজ প্রান্ত :::
খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন বিগত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে জাতির সাথে মহাপ্রতারণা করা হয়েছে। সরকারী দল, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ প্রশাসনের সম্মিলিত ছকে নির্বাচনের নামে যা ঘটানো হয়েছে তাতে নির্বাচনী ব্যবস্থার কবর রচনা করা হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশ এক গভীর সংকটে নিপতিত হয়েছে। এভাবে জালিয়াতি আর নীলনক্সার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কোনভাবেই জনগণের সরকার হতে পারে না। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। আবারো প্রমানিত হয়েছে যে, দলীয় সরকারের অধিনে কোনভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই দেশ, জাতির ও গণমানুষের অধিকারের স্বার্থে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মহাপ্রহসনের নির্বাচনকে বাতিল করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে পুনরায় জাতীয় নির্বাচনের দাবী আদায়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরস্থ মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে মাাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক খেলাফত মজলিসের আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহন করেছেন।
শূরা সদস্য ও সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত আমীরে মজলিসকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ। শূরা সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত নবনির্বাচিত মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
অধিবেশনে ২০১৯-২০ সাংগঠনিক সেশনের জন্যে গঠিত ৯৬ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ হচ্ছে:
আমীরে মজলিস- অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব- ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমীর- অধ্যক্ষ মাসউদ খান, মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মাওলানা আহমদ, যুগ্মমহাসচিব- মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ গোলাম আসগর, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা এ কে এম আইউব আলী, কে এম নজরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শফিউল অলম, মাওলানা তোফাজ্জ¦ল হোসাইন মিয়াজী, প্রশিক্ষন সম্পাদক- অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, বায়তুলমাল ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, দফতর ও প্রচার সম্পাদক- অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, প্রকাশনা সম্পাদক- অধ্যাপক কে এম আলম, উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নোমান মাযহারী, সমাজকল্যান সম্পাদক- আবু সালেহীন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক- আবু আদিবাহ, দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক - মাওলানা নুরুজ্জামান খান , শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা শামসুজ্জামান চেীধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- ডা: শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- মাষ্টার সাইফ উদ্দিন, ডাঃ এ এ তাওসিফ, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, আহমদ আসলাম, মাওলানা নুরুল আল মামুন, বুরহান উদ্দিন সিদ্দকিী, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক- অধ্যাপক সালমান, সহ- দফতর সম্পাদক- ফয়জুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা- উম্মে সুমাইয়া , মহিলা বিষয়ক সহ- সম্পাদিকা ঃ রায়হানা লোপা। সদস্য- এবিএম সিরাজুল মামুন, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাস্টার আবদুল মজিদ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মাওলানা আইউব আলী, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক মাওলানা খুরশীদ আলম, এম মোর্শেদ ও মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ্ব সদরুজ্জামান খান, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, প্রভাষক মোঃ আবদুল করিম, অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব আলম, মাওলানা সাঈদুর রহামন, মুফতি শিহাবুদ্দিন, মাওলানা ওযায়ের আমীন, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা কাজী আসাদ উল্লাহ, মাওলানা আবদুল হাই প্রমুখ ।
অধিবেশনে হযরত মাওলানা খলীলুর রহমান বর্ণভী- মৌলভীবাজার, মাওলানা রশীদ আহমদ ফারুক বর্ণভী, এডভোকেট আহমদ সগীর- চট্টগ্রাম, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস- লক্ষ্মীপুর, ডাঃ আবদুল্লাহ খান- ঢাকা, মাওলানা মাওলানা আবদুল বারী ধর্মপুরী- মৌলভীবাজার, মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী- বি-বাড়িয়া, হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম-চট্টগ্রাম, সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক- ঢাকা, প্রিন্সিপাল মাওলানা সাফি উদ্দিন ভূঁঞা- ঢাকা, মাওলানা তৈয্যেবুর রহমান- বাগেরহাট, মাওলানা মুহাম্মদ সালেহ- খুলনা, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল- গোপালগঞ্জ, আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান- সিলেট, মাওলানা আবদুল মান্নান-ঢাকা, সৈয়দ মুহিবুর রহমান- সিলেট, মাওলানা মাহবুবুর রহমান- খুলনা, হাফিজ মাওলানা নূরুজ্জামান-সিলেট, ড. আবদুল লতিফ মাসুম- জাবি, এডভোকেট এ কে এম বদরুদ্ধোজা- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম- চাঁদপুর, মাওলানা আবদুল কাইউম সুবহানী- ঢাকা, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকী-কিশোরগঞ্জ, অবদুস সামাদ সরকার- ঢাকা, মাওলানা মুফতি ইব্রাহীম খলীল- পাবনা, ড. ইউসুফ আলী-গাজীপুর, মুফতি আবদুল বাতেন- মানিকগঞ্জ, মাওলানা বুরহান উদ্দিন- চট্টগ্রাম, মাওলানা মুহাম্মদ আলী- রংপুর, মাওলানা রিয়াজুল হক কাসেমী- কুড়িগ্রাম, মাওলানা তাজুল ইসলাম-কুমিল্লা, মাওলানা হারুনুর রশীদ- নোয়াখালী, জিয়াঊল হক শামীম- ঢাকা, অধ্যাপক আলী রেজা- গোপালগঞ্জ, ডাঃ আবু আহমদ, অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর- সিলেট, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম-খুলনা ও মাওলানা আবু তাহের-লক্ষ্মীপুর প্রমুখকে নিয়ে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।
অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাব ও ১. ৩০ ডিসেম্বরের প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুন:নির্বাচন প্রসঙ্গ, ২. নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৪ সন্তানের জনীনর উপর সরকারী দলের লোকদের পৈচাশিক নির্যাতন প্রসঙ্গ, ৩. তৈরী পোশাক শিল্প শ্রমিকদের মজুরী কাঠামো নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ প্রসঙ্গ, ৪. চাল, ডালসহ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও আর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রসঙ্গ, ৫. দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে মোট ৬টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।